চীন ও ভারতের সীমান্ত সমস্যা দীর্ঘদিনের হলেও অবশেষে এই বিবাদ নিরসনে একত্রে কাজ করতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। পাঁচ বছর পর প্রথমবারের মতো উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সিএনএন নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ২২ ডিসেম্বর বেইজিংয়ে বৈঠক করেন। এটি ছিল ২০১৯ সালের পর তাদের প্রথম আনুষ্ঠানিক সীমান্ত সমস্যা নিয়ে আলোচনা।
গত বছরের অক্টোবরে চীন ও ভারত তাদের বিতর্কিত সীমান্তে সামরিক বিচ্ছিন্নতা এবং টহল ব্যবস্থার বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছিল, এবং এই বৈঠকে সেই চুক্তি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ওয়াং ও ডোভাল সীমান্ত বিরোধের সমাধানের জন্য একটি ন্যায্য এবং যুক্তিসঙ্গত প্যাকেজ অনুসন্ধানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তারা সীমান্ত বিরোধের সমাধান নিশ্চিত করার জন্য বিচ্ছিন্নতা চুক্তি বজায় রাখার পাশাপাশি উভয় পক্ষের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দুই দেশ সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি ও স্থায়িত্ব বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর পাশাপাশি, তারা আন্তঃসীমান্ত সম্পর্ক জোরদারের জন্য একমত হয়েছেন। এর মধ্যে ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের তিব্বতে ভ্রমণ শুরু করা, আন্তঃসীমান্ত নদী সহযোগিতা এবং ভারতের সিকিম রাজ্যে সীমান্ত বাণিজ্য পুনরায় চালু করা অন্তর্ভুক্ত।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এই বৈঠকের বিস্তারিত জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে, যেখানে সীমান্ত এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য উভয় পক্ষের প্রচেষ্টার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে, যাতে সীমান্ত সমস্যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত না করে।